ফেরাউন দিলো কতই জ্বালা, আছিয়া খেলে প্রেমের খেলা
মাগুরায় ৫ মার্চ ধর্ষণ হওয়া কন্যা শিশু আছিয়া মৃত্যুবরণ করেছে। তার উপর খোদার পরম শান্তি বর্ষিত হোক।
ফেরাউন হইলো পুরুষতান্ত্রিক জালিম সমাজের প্রতিনিধি। এই জালিমতার বিরুদ্ধে আছিয়ারা জেগে ওঠে ইনসানিয়াতের (মানবিকতার) লড়াইয়ে। ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া বিনতে মুজাহিম নবী মুসা (আ.)-কে শিশুকালে নদীতে ভাসমান অবস্থায় পেয়ে তাকে দত্তক নেন এবং ফেরাউনকে রাজি করান শিশুটিকে হত্যার বদলে লালন-পালন করতে।
আছিয়ার ঈমানি শক্তি ফেরাউনের জালিমতা হার মানাতে পারে নি।
বরং ইসলামে আসিয়া উদারতা, সাহস, আর ঈমানের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। কুরআনের সূরা আত-তাহরিম (৬৬:১১)-তে তার প্রশংসা করা হয়েছে:
"আর আল্লাহ মু’মিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন, যখন সে বলেছিল: ‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার নিকট জান্নাতে আমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দাও এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কর্ম থেকে রক্ষা করো এবং জালিম সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করো।’"
এই আয়াত মিছিলে, বিপ্লবে স্লোগানে বলো হে আছিয়ারা, "...আমাকে ফেরাউন ও তার কর্ম থেকে রক্ষা করো, এবং জালিম সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করো।"
বাংলাদেশের আছিয়ারা "ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে" জেগে উঠবে। জুলাইয়েও বাংলাদেশের আছিয়ারা জেগে উঠেছিলো অন্যয্যতার বিরুদ্ধে। ফেরাউনি পুরুষতান্ত্রিকতা, ভণ্ডামি ও নারী বিদ্বেষী বয়ান তৈরি করে বাংলাদেশের আছিয়াদের দমানো যাবে না।
আমি আছিয়া হইতে চাই। আমার ঘর আছিয়ার সুভাসিত হাসি মুখ আমার কন্যার ভেতর দেখতে পাই।
আছিয়া তুমি কেঁদো না, জান্নাতের ফুল হয়ে ফুটে থাকো বাংলাদেশের নারী জাগরণের ময়দানে।